ই-পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ ২০২4 দালাল ছাড়া ই পাসপোর্ট করার নিয়ম
ই-পাসপোর্ট
ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
- পাসপোর্ট ফি জমা দিতে হবে।
- প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট রেডি করতে হবে।
- পাসপোর্ট আবেদন ফরম নিতে হবে ।
- পাসপোর্ট ফরম পূরণ করতে হবে।
- পাসপোর্ট ফরম এবং সংশ্লিষ্ট ডকুমেন্ট সত্যায়িত করতে হবে।
- আবেদন ফরম পাসপোর্ট অফিসে শশরীরে জমা দিতে হবে।
- পাসপোর্ট এর ডেলিভারি স্লিপ সংগ্রহ করতে হবে।
- পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে হবে।
- পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে।
- পাসপোর্টের ফি জমা দেওয়া।
ব্যাংকে ফি জমা দেওয়া
সশরীরে পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে অফিস নির্ধারিত ব্যাংকে গিয়ে টাকা জমা দিতে হবে সেখান থেকে ব্যাংক ড্রাফট সংগ্রহ করতে হবে। ব্যাংক ড্রাফটের অবশ্যই প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে এবং ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার মাধ্যমে ব্যাঙ্ক ড্রাফটি পাবেন আপনি। কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খেয়াল রাখবেন-যে জেলা বা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করবেন সে আলাকাই ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার চেষ্টা করবেন।
আপনার ন্যাশনাল আইডি এবং সার্টিফিকেট জন্ম নিবন্ধন কিভাবে নাম লেখা রয়েছে সেই ভাবে ব্যাংকে টাকা জমা দেয়ার সময় এ কিভাবে লিখবেন।
ব্যাংকের আপডেট মানি রিসিটের ট্রানজেকশন নাম্বারটি কোথাও লিখে রাখুন।
পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য
আমাদের অনেকেই মনে করে দালাল ছাড়া প্রয়োজনের অতিরিক্ত টাকা না দিয়ে পাসপোর্ট করা যায় না ঝামেলা হয় এই কথাগুলো পুরোপুরি সঠিক নয় বর্তমানে হয়রানির হার অনেকটাই কমে গেছে।
কোন মাধ্যম ছাড়া নিজে নিজেই পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে অবশ্যই হাতে সময় নিয়ে পাসপোর্ট এর কাজ শুরু করবেন। জরুরি প্রয়োজনে নিজে না করে অন্য কারো সাহায্য নিয়ে পাসপোর্ট করতে পারেন।
পাসপোর্ট এর আবেদন ফরম ফিলাপ করার আগে এবং ফিলাপ করার পরে ভালোভাবে সবগুলো তথ্য যাচাই করে প্রয়োজনে ফরমটি একটি ফটোকপি করে সংগ্রহ করে রাখবেন। এরপর পাসপোর্ট অফিসে জমা দিবেন।
পাসপোর্ট এর ফরম পাসপোর্ট অফিসে জমা দেয়ার সময় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ন্যাশনাল আইডি কার্ড এর মূলকপি সঙ্গে নিয়ে যাবেন।
স্পোর্ট অফিস সকাল 9 টা থেকে দুপুর 1 টা 30 মিনিট পর্যন্ত ফরম জমা নেয় তবে অবশ্যই আগে আগে পাসপোর্ট অফিসে চলে যাবেন এবং লাইনে দাঁড়িয়ে পাসপোর্ট এর ফরম জমা দেবেন।
পাসপোর্ট এর ফর্মে অবশ্যই ঘাম বা আঠা দিয়ে ব্যাংক ড্রাফ বা রিসিট লাগাবেন। পিন বা স্টাপ্লার ব্যবহার করবেন না।
পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময় টাকা চাওয়া হয় ঝামেলা এড়াতে চাইলে কিছু টাকা দিয়ে দেওয়াই ভালো যদিও এই টাকা দেওয়াটা কোনভাবেই লিগাল নয়।
যারা নতুন ই-পাসপোর্ট করবেন তারাই শুধুমাত্র অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
আরো বিশেষ বা গুরুত্বপূর্ণ যে কোনো নির্দেশনা জানার জন্য আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে খোঁজ নিতে পারেন। অথবা ভিজিট করুন www.dip.gov.bd ওয়েবসাইটে।
১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট ফরম
Passport application
যে সকল ব্যাংকে পাসপোর্ট ফি জমা দেয়া যায়
- সোনালী ব্যাংক
- প্রিমিয়ার ব্যাংক
- ব্যাংক এশিয়া
- ঢাকা ব্যাংক
- ট্রাস্ট ব্যাংক
- ওয়ান এশিয়া।
মনে রাখবেন সোনালী ব্যাংকের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু শাখাতেই পাসপোর্ট ফি জমা দিতে পারবেন।পাসপোর্ট অফিস থেকে এ ব্যাপারে জানতে পারবেন আর অন্যান্য ব্যাংকের যে কোন শাখায় টাকা জমা দিতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট তৈরি করা
পাসপোর্ট ফরম 2 কপি তবে সরকারি চাকরিজীবী বা তাদের পরিবারের ক্ষেত্রে বা সন্তানদের ক্ষেত্রে 15 বছরের কম বয়সী সন্তানদের ক্ষেত্রে একটি ফর্ম।
ন্যাশনাল আইডি কার্ড বা স্মার্ট কার্ডের সত্যায়িত কপি বর্তমানে ন্যাশনাল আইডি কার্ড ছাড়া পাসপোর্ট করা সম্ভব নয়।
পাসপোর্ট এর আবেদন ফরম পূরণ
পাসপোর্ট অফিসের ফরম জমা দেওয়া।
পাসপোর্ট অফিসের ফরম জমা দেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সরাসরি যে ফর্মটা জমা দিতে হবে। আঞ্চলিক পাসপোর্ট
অফিসে গিয়ে প্রথমে আপনাকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিতে হবে এরপর পাসপোর্ট এর ফরম জমা নেয়ার লাইনে দাঁড়িয়ে ফরম জমা দিতে হবে।
পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপ সংগ্রহ
পাসপোর্ট ফরম জমা দেয়ার শেষ হলে এবং ছবি তোলা শেষ হলে একটি ডেলিভারি স্লিপ দেয়া হবে। ডেলিভারি স্লিপে দেয়া তথ্যগুলো সম্পূর্ণ যাচাই করুন কোথাও কোন ভুল থাকলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সেটি সংশোধন করা যাবে এরপরে সংশোধন করার ক্ষেত্রে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয় সুতরাং তৎক্ষণাৎ সকল তথ্য যাচাই করে পাসপোর্ট অফিস থেকে বের হবেন।আর এই পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপটি যত্নসহকারে সংগ্রহ করে রাখুন আপনি যখন পাসপোর্ট আনতে যাবেন অফিস থেকে তখনো স্লিপটি সঙ্গে রাখুন।
ই পাসপোর্ট চেক
অথবা আপনার ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করুন MRP>EID NO লিখে 6969 এই নাম্বারে সেন্ড করুন এবং ফিরতি মেসেজে আপনার পাসপোর্ট এর স্ট্যাটাস সম্পর্কে জানতে পারবেন।
পুলিশ ভেরিফিকেশন
পাসপোর্ট সংগ্রহ
ই-পাসপোর্ট ফি
e-Passport fees for inside Bangladesh (Including 15% VAT)
e-Passport with 48 pages and 5 years validityRegular delivery: TK 4,025
Express delivery: TK 6,325
Super Express delivery: TK 8,625
e-Passport with 48 pages and 10 years validityRegular delivery: TK 5,750
Express delivery: TK 8,050
Super Express delivery: TK 10,350
e-Passport with 64 pages and 5 years validityRegular delivery: TK 6,325
Express delivery: TK 8,625
Super Express delivery: TK 12,075
e-Passport with 64 pages and 10 years validityRegular delivery: TK 8,050
Express delivery: TK 10,350
Super Express delivery: TK 13,800
পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে
বিশেষ দ্রষ্টব্য: সরকারি চাকরিজীবী ও তাদের স্ত্রী সন্তানদের ক্ষেত্রে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে সাধারণ ভিডিও জরুরী সুবিধা পাওয়া যাবে সাধারণ পাসপোর্ট এর ক্ষেত্রে ২১ দিনের ভিতরে হয়ে যাবে বলা হলেও অনেক সময় তার চেয়েও বেশি সময় লাগে। তবে জরুরি পাসপোর্টের ক্ষেত্রে কয়েকদিন সময় বেশি লাগতে পারে।
তথ্য সুত্র ঃ-www.epassport.gov.bd